মেলান্দহে পৃথক পৃথক স্থান হতে রহস্যজনক দুই ফাঁসির মরদেহ উদ্ধার করেছে মেলান্দহ থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ৭ মে শনিবার জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলায়।

মেলান্দহ থানার পুলিশ পরির্দশক এসআই জাহিদ জানান – আদ্রা ও ফুলকোচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদ্বয় ওসি স্যারকে জানান যে, ফুলকোচা ইউনিয়নের কোনামালঞ্চ এলাকার পার্শ্বে পাহাড়ি পটল গ্রামের সাবেক মেম্বার আলফাজ মেম্বারের পুত্রবধূ ঘরের বারান্দায় ফাঁসিতে ঝুলে আছে।

আমি ওসি স্যারের কথা মোতাবেক ঘটনাস্থলে যাই এবং ঝুলন্ত লাশ নামিয়ে প্রাথমিক সুরতহালে দেখা যায়- লাশের ডান পা, নাকে রক্ত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। নিহত কনিকা আক্তার চায়না(২৮) মাদারগঞ্জ উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নের চর লুটাবর গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর মেয়ে। এবং মেলান্দহ উপজেলার পাহাড়ি পটল গ্রামের সাবেক মেম্বার আলফাজ উদ্দিন পুত্র সৌদি প্রবাসি নুরল ইসলাম লেমনের স্ত্রী।

নিহত চায়নার বড় বোন কল্পনা বলেন – আমার বোন চায়না গতরাত ১০ টার সময় ফোন করে আমায় বলেছিল আমাকে বাচাও,আমার স্বামী লেমন ও শশুর আমাকে মেরে ফেলবে,আমার উপর টর্চার করছে।

চায়নার বড় ভাই মনির হোসেন বাবু বলেন – আমার বোন চায়নাকে ২০১৪ সালে লেমনের কাছে বিয়ে দেই, বিয়ের কিছুদিন পরেই লেমন আমার অন্ত:সত্তা বোনকে ডিভোর্স দিয়ে বিদেশ চলে যায়।পরে চায়না অন্ত:সত্তা থাকায় তালাক কার্যকর না হওয়া পুনরায় মুটো ফোনে বিয়ে করে। ঈদ ফিতরের আগের দিন দেশে আসে এবং গত রাতে পরিকল্পিত ভাবে পরিবারের সবাই মিলে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে আত্মহত্যা নাটক সাজিয়েছে।আমি এর ন্যায় বিচার কামনা করছি।

উপর দিকে উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের কাজাইকাটা গ্রামে এক্সলুবেটর( বেকু) চালক আনিছ(২২) তার বাড়ীর পাশে মেহেগুনি বাগানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্ম হত্যা করে। নিহত আনিছ কাজাইকাটা গ্রামে মো: সরবেশ আলীর ছেলে। এ ঘটনার মেলান্দহ থানার পুলিশ পরির্দশক এসআই দিলীপ জানান- আমি খবর পেয়ে সকাল ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই এবং মৃত আনিছকে মাটিতে শুয়ানো অবস্থায় পায়।ওখান থেকে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।তবে এবিষয়ে মেলান্দহ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

মেলান্দহ থানার ওসি ময়নুল ইসলাম জানান- পৃথক স্থান হতে দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ময়না তদন্তের জন্য লাশদ্বয় মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তবে দ্বিতীয় মামলাটি না হলেও প্রথমটি অর্থাৎ কণিকা আক্তার চায়নার মামলাটি নিয়ে গোলা পানিত মাছ শিকারে ব্যস্ত একটি মহল।কণিকার আত্মহত্যা না হত্যা বিয়য়টি এখন টপ অব দ্যা মেলান্দহ পরিণত হয়ে পড়েছে।